বাংলাদেশে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে চাকরি, ফ্রিল্যান্সিং ও ই-কমার্সের চাহিদা
বাংলাদেশে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে চাকরি, ফ্রিল্যান্সিং এবং ই-কমার্সের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। বর্তমান বিশ্ব প্রযুক্তিনির্ভর। বাংলাদেশও এই ধারায় পিছিয়ে নেই।
বিশেষ করে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে চাকরি, ফ্রিল্যান্সিং এবং ই-কমার্স খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য।
In fact, ইন্টারনেট ও প্রযুক্তির সহজলভ্যতার কারণে হাজারো তরুণ-তরুণী এখন ঘরে বসেই আয় করছেন।
Moreover, তারা শুধু আয় করছেন না, বরং উদ্যোক্তা হয়ে অন্যদের জন্যও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছেন।
এই ব্লগে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো— বাংলাদেশে কেন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের চাহিদা এত দ্রুত বাড়ছে, কী কী খাতে এই চাহিদা বেশি, এবং নতুনদের জন্য কী সুযোগ রয়েছে।
🧑💻 ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে চাকরির চাহিদা
বাংলাদেশে প্রচলিত চাকরির ধরন বদলে যাচ্ছে।
Nowadays, অনেক প্রতিষ্ঠানই স্থায়ী কর্মী না রেখে রিমোট বা অনলাইনভিত্তিক কর্মী খুঁজছে।
For example, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, কনটেন্ট রাইটিং, ডিজাইনিং, ডেটা এন্ট্রি ও কাস্টমার সার্ভিসে এখন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
Additionally, চাকরি খোঁজার জন্য এখন আর অফিসে অফিসে ঘুরতে হয় না।
বিভিন্ন জব পোর্টাল যেমন bdjobs, chakri.com, বা LinkedIn-এর মাধ্যমে খুব সহজেই অনলাইন ভিত্তিক চাকরি খুঁজে পাওয়া যায়।
Furthermore, অনেক স্টার্টআপ কোম্পানি শুধুমাত্র অনলাইনেই তাদের অপারেশন পরিচালনা করছে।
Hence, তারা দক্ষ অনলাইন কর্মীর উপর নির্ভর করে।
In the same way, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোও এখন অনলাইন জব পজিশন খোলার ক্ষেত্রে আগ্রহী।
Just as ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট, SEO স্পেশালিস্ট, ভিডিও এডিটর, কিংবা ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টের চাহিদা দিনে দিনে বাড়ছে।
💼 ফ্রিল্যান্সিং: বাংলাদেশের তরুণদের জন্য সম্ভাবনার দ্বার
Undoubtedly, ফ্রিল্যান্সিং এখন শুধু সাইড ইনকামের মাধ্যম নয়, বরং পুরোপুরি ক্যারিয়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
বিশ্বব্যাপী ফ্রিল্যান্সিংয়ের বাজার প্রতি বছর বেড়েই চলেছে, এবং বাংলাদেশ এই বাজারে বড় ভূমিকা রাখছে।
According to Oxford Internet Institute, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ফ্রিল্যান্সিং দেশ।
To illustrate, একমাত্র Upwork-এই বর্তমানে প্রায় ৮ লাখের বেশি বাংলাদেশি অ্যাক্টিভ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে।
Moreover, Fiverr, Freelancer, PeoplePerHour, Toptal ইত্যাদি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মেও বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ বাড়ছে।
Because of this, হাজারো তরুণ ঘরে বসে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্যও ইতিবাচক।
Not only that, এখন সরকারি ও বেসরকারিভাবে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে।
For instance, LICT, LEDP, ও SEIP এর মত সরকারি প্রোগ্রাম হাজার হাজার তরুণকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তুলছে।
🛒 ই-কমার্স খাতে অভাবনীয় উত্থান
ই-কমার্স বাংলাদেশের ডিজিটাল বিপ্লবের আরেকটি শক্তিশালী খাত।
বিশেষ করে করোনাকালে মানুষ অনলাইন কেনাকাটার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।
Consequently, ছোট-বড় অসংখ্য ই-কমার্স কোম্পানি গড়ে উঠে।
Such as Daraz, Rokomari, Pickaboo, Othoba, PriyoShop ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান শুধু শহরেই নয়, গ্রামেও ডেলিভারি সার্ভিস চালু করেছে।
In addition, ফেসবুক ভিত্তিক অনলাইন দোকান এখন লাখ ছাড়িয়েছে।
To give an example, একজন গৃহবধূ হস্তশিল্প তৈরি করে নিজের ফেসবুক পেজে বিক্রি করছেন এবং মাসে ৫০,০০০ টাকা আয় করছেন।
Similarly, তরুণ উদ্যোক্তারা প্রিন্টেড টি-শার্ট, হোম ডেকর, বিউটি প্রোডাক্ট ইত্যাদি অনলাইনে বিক্রি করছেন।
Furthermore, এখন দেশের বাইরে থেকেও অর্ডার নেওয়া সম্ভব হয়েছে PayPal-alternative আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়েতে।
🎯 কেন এই চাহিদা বাড়ছে?
এই খাতে চাহিদা বাড়ার পেছনে রয়েছে বেশ কিছু সুস্পষ্ট কারণ।
- ইন্টারনেট সহজলভ্যতা: এখন দেশের প্রায় প্রতিটি জায়গায় মোবাইল ইন্টারনেট পৌঁছে গেছে।
- স্মার্টফোনের ব্যবহার: প্রায় প্রত্যেক তরুণের হাতে এখন স্মার্টফোন আছে, যা দিয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হওয়া যায়।
- সরকারি ডিজিটাল উদ্যোগ: ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রকল্প, Union Digital Center (UDC) ইত্যাদি উদ্যোগ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের প্রসারে সহায়ক হয়েছে।
- সাশ্রয়ী ডিভাইস ও সফটওয়্যার: কম মূল্যের ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, ফ্রি অনলাইন টুলস পাওয়া যাচ্ছে।
- অনলাইন পেমেন্ট সুবিধা: বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদি দিয়ে সহজেই টাকা লেনদেন করা যাচ্ছে।
Therefore, ডিজিটাল মাধ্যমে কাজ করাটা এখন আর জটিল বা ব্যয়বহুল নয়।
💡 কোন স্কিলগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি?
বাংলাদেশে বর্তমানে নিচের স্কিলগুলোতে চাহিদা সবচেয়ে বেশি:
- গ্রাফিক ডিজাইন
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- SEO এবং SEM
- ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট
- ভিডিও এডিটিং ও অ্যানিমেশন
- কনটেন্ট রাইটিং
- ই-কমার্স অপারেশন ম্যানেজমেন্ট
- ডাটা এন্ট্রি ও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্স
Above all, এসব স্কিল শেখা এখন সহজ হয়েছে ইউটিউব, কোর্স সাইট এবং লোকাল স্কিল একাডেমির কারণে।
🎓 কোথায় শেখা যায়?
যারা স্কিল শিখতে চান, তাদের জন্য রয়েছে অসংখ্য ভালো ট্রেইনিং সেন্টার ও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম।
- Shwapno Dakho Skill Academy – প্র্যাকটিক্যাল বেসড কোর্স
- Abacus Soft BD Limited – অনলাইন ও অফলাইন কোর্সে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক
- Coursera, Udemy, Skill share – আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম
- ICT Division এর LICT বা LEDP প্রজেক্ট – সরকারি ফ্রি প্রশিক্ষণ
Indeed, এসব জায়গায় থেকে কোর্স করে আপনি নিজের পোর্টফোলিও তৈরি করতে পারবেন, যা আন্তর্জাতিক মার্কেটে কাজ পাওয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
📈 ভবিষ্যতের সম্ভাবনা কেমন?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশে আইটি ও ডিজিটাল খাতে কর্মসংস্থান ৫০% এর বেশি বাড়বে।
According to BASIS, প্রতি বছর প্রায় ২০,০০০ এর বেশি চাকরি তৈরি হচ্ছে শুধুমাত্র আইটি খাতে।
Likewise, ফ্রিল্যান্সিং ও ই-কমার্স খাতে উদ্যোক্তা বাড়ছে।
In short, যে কেউ এখন থেকেই উদ্যোগ নিলে, আগামীতে নিজের একটি সফল ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবে।
🧾 উপসংহার
To sum up, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে চাকরি, ফ্রিল্যান্সিং এবং ই-কমার্স – এই তিনটি ক্ষেত্র বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং তরুণ সমাজের ভবিষ্যত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
Finally, যারা সময়ের সাথে নিজেকে বদলাতে প্রস্তুত, তারাই হবে আগামী দিনের ক্যারিয়ার লিডার।
So, এখনই সময় নিজের জন্য স্কিল বেছে নেওয়ার, শেখার, এবং অনলাইন ক্যারিয়ারে যাত্রা শুরু করার।
📢 এই লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছে:
🌐 www.zahiriqbal.com